স্বাস্থ‍্যকেন্দ্রে সোয়াব টেস্টের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ চন্ডীতলার জঙ্গলপাড়া এলাকায়

13th May 2020 হুগলী
স্বাস্থ‍্যকেন্দ্রে সোয়াব টেস্টের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ চন্ডীতলার জঙ্গলপাড়া এলাকায়


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করায় বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে পিছু হঠে স্বাস্থ্যকর্মিরা,বন্ধ হলো সোয়াব কালেকশান। চন্ডীতলার জঙ্গলপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা নির্নয়ের জন্য সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।আজ ব্লক হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যকর্মিরা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে বিক্ষোভ শুরু করে গ্রামবাসীরা।অভিযোগ হাসপাতাল টি গ্রামের মধ্যে এই রাস্তা দিয়ে দশ বারোটা গ্রামের এই হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন ফলে বাইরে থেকে লোক জন এলে করোনা  ছড়ানোর সম্ভাবনা বেরে জাবে আরো অভিযোগ অন্য সময় চিকিৎসক থাকে না,তাই সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা মানা হবে না।খবর পেয়ে চন্ডীতলা থানার পুলিশ হাজির হয়।বিক্ষোভে পরে সোয়াব কালেকশান বন্ধ করে ফিরে যান স্বাস্থ্যকর্মিরা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।